কবিতা – ভাসমান

আমি হেঁটে যাই ভেসে ভেসেঅযথাই, তবু হেসেদেখি, কে সে?সে আমায় ভালবেসেবেগুনী চাদর গায়ে এসেআমায় নিয়ে গেলো সব শেষে। আমি হেঁটে যাই ভেসে ভেসেসে পা ঠিকই মাটিতে ঘষেআজ এই নিয়ে চার মাসেগলা চেপে ধরে কেশেবললো, “তোমার জন্য ফেঁসে-“আমি ঘুমের ভান ধরে ভেসেসতরঞ্জের ঘটক বেশেদিবাস্বপ্নের রেশেকোণাকুণি ঘর ধরে এসেনৌকো কেটে ফেলে ধ্বসেরাজা-মন্ত্রীর খেলা দেখি বসেপাশে মাতাপিতা ভেবে

কবিতা – একদিন

আমরা একদিন বেরুবো সকালেঅকালে, আকাশে- সাদা পাখির ট্রাফিকেসেদিন বজ্রপাতের সিগনালে ভয় পাবেতুমি, আমার কাঁধে ভর দিয়ে চাও তুমি যেদিকে। ✍️ ইতমাম হামী, ১৪-ই জুন, ২০২৩, রাত ১০টা ৫১মিনিট।

কবিতা – ছক্কা দুই

স্বপ্ন এখন ভূত সকালেরখোলা চোখে, বদ্ধ গ্যাসেনির্মমতায় গত সালেরআমায় পিষে, রাতের শ্যাষে – ভড়কে পেটে, কোমড় ধরে,ছক্কা ছিল বিন্দু দূরে।অচেনা মেঘ, ভাঙ অঝোরেডুবলো বলে চেনা সুরে। ✍️ ইতমাম হামী, ১৭-ই জানুয়ারী, ২০২৪, রাত ২টা ৪৫মিনিট।

কবিতাঃ বেগুনী পাখনা/সবুজ প্রেম

আমি শেষ যেদিন তোমার প্রেমে পড়ি সেদিন সূর্য ছিল ঠিক আমার ঘাড়ের উপরে।আমি সাদা শার্ট আর স্যুট হাতে ধরেতোমাকে শেষবারের মত অপেক্ষা করিয়েহাসিমুখে দেই রওয়ানাকিতাবপত্র ঘেটে নেই মানাআমার সাথে ছিল এক বন্ধুআর আচমকা উৎসাহসাক্ষীসাবুদ সব প্রস্তুতআর তাপদাহ। ইতিমধ্যে তুমি হাজির চির-অচেনায়কত মাইল পাড়ি দিয়ে হিসাব চায়দিয়ো না, থাক!যারা অসময়ে পুষে বেড়ায়, তারা চুলোয় যাক।আমরা তো

কবিতাঃ কবর

আমার দুনিয়ায় তুমি নেইগুরু, প্রেমিকা- হোক সে যেই।ঠিক কবরের মত থাকি আমিজানি শুধু আমি আর অন্তর্যামী৷ আমাতে হতাশ হয়ে কোন লাভ নেই।আমার লাশের শোকে হারানো সে খেইএখনো ধেয়ে বেড়ায় আমার অনস্তিত্বএতটা পেয়েও নেই কোন স্বস্তি তো৷ ✍ ইতমাম হামী, ২০-ই অক্টোবর, ২০২২, রাত ৪.১০ মিনিট।

হারানো কবিতা

আমি আসব তোমার চোখের পানিতে ভেসে সঙ্গের দ্বীপে কিংবা চার গ্রাম মিলে। হাসব তোমার কাছে এসে বলব আমি হারালাম, তুমি তবু মনে করে নিলে। ✍ ইতমাম হামী, ৩রা অক্টোবর, ২০২৩, রাত ১টা ৯মিনিট।

কবিতা- দেয়াল

আমি বাড়ি ফিরে দেখিসবাই থেকেও খালি এ-কী!আমার মাথার ভেতর খোলা মাঠশুকনো, মরা- চায় ভেজা কাঠভর্তি কোন শোষকযার চোয়ানো পানিতে তোষকআমায় নিয়ে যাবে ঐ স্বপ্নটায়যখন ভেসেছি ইচ্ছা-কল্পনায়খালামনির ডাকেচোরাবালির ফাঁকেভয়ে যদি কেউ টেনে নেয়সমুদ্রতলের কবরেদেয়াল টানা ঢেউ শেষেআমি একলা আমার নিজ বেশেজাগতে চেয়েছি অবেলায়দিন কেটে নিয়ে অবহেলায়আজ ব্যস্ত আখড়ায় নিষ্ক্রিয়আমায় ছেড়ে সব প্রিয়। নিজে নিজে জ্বলে বিশ্বাসীআমি

মোহরে দেওয়া কবিতা

লোকালয় এক অভিশাপ সর্বনাশা আমার ভেতর একটাই পাখির বাসা তাতে তুমি বুনেছো সুর, বেঁধেছ দরজা ঠাসা আর আমি মোহরে দিয়েছি তোমায়- খড় তুলে দেওয়ার আশা। ✍ ইতমাম হামী, ২৬-ই জুলাই, ২০২৩, বিকেল ৫টা ৩৫।

কবিতা- দৈত্য

আমি কবে? আমি কার?জিজ্ঞাসা, জিঘাংসা আরউপচিকীর্ষার প্রেরণাচাইতে গিয়েও তবু চেয়ো না। আমি অখ্যাতনিয়তির বোধে অজ্ঞাতঅধস্তন নিজ অতীতের কাছেনিষ্পাপত্বকে অর্জন ডাকার কি আছে? আমি মধ্যমাতেই মনঃপূতসংকীর্ণ পন্থা- চুরির সুতোআমি সসীম- আমি সংবেদ্যপারতপক্ষে, বৈষম্যভেদ্য। আমি দেয়াল ভাঙা দৈব দৈত্যআপোষহীন, অপ্রতুল সইত্যতৎপ্রেক্ষিতেও তীব্র অসংগতিআমার- নষ্ট বিবেক, নিভন্ত জ্যোতি। নিভৃতেই তো মুক্তি আমারবিলম্বিত শক্তি আধারনৈমিত্তিক নিক্তিতে আমার কোন ঠাঁই

তোমার কবিতা

আমি পরোয়া করিনা-করিনা বলে ঘুণে ধরা তোমাকে নিয়েই শেষ পর্যন্ত ভাসতে চেয়েছি। মসৃণতা খোঁজের নাম করে আধুনিকতায় খেই হারিয়ে ফেরীআলার কাছে চেয়েও তোমায় পেয়েছি। ✍ ইতমাম হামী, ২৭-ই মার্চ, ২০২৩, রাত ১টা ৩১ মিনিট।